টাইমস আইটি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং জগতে এক সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যা অসংখ্য শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত টাইমস আইটি বেকারত্ব দূর করতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যেমন শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করছে, তেমনই একটি ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সম্মানজনক আয় করা সম্ভব, এটি প্রমাণ করতেই টাইমস আইটির যাত্রা।
প্রতিষ্ঠার
শুরু থেকেই টাইমস আইটির প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বেকার
যুবকদের প্রযুক্তিখাতে দক্ষ করা। বেকারত্বকে
বিদায় জানিয়ে তাদের কর্মমুখী জীবনযাপনে সক্ষম করা এবং দেশ-বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করে দেশের
অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা।
টাইমস আইটি বিশ্বাস করে,
যে ধর্মচর্চা কোনো বাধা নয়
বরং তা সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি
জীবনযাপনকে উৎসাহিত করতে পারে, এবং
এই বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করে সবাইকে দেখিয়ে
দিয়েছে যে ধর্ম পালন
করেও বিত্তশালী হওয়া সম্ভব।
এটি
কেবল চাকরির পেছনে ছোটা নয়, বরং
আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরতার পথে
এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
টাইমসের সেমিনারগুলো শিক্ষার্থীদের চাকরিদাতার পরিবর্তে চাকরির স্রষ্টা হিসেবে প্রস্তুত করতে ভূমিকা রাখে।
এতে একটি শিক্ষার্থী শুধু
একটি কাজ শিখে থেমে
থাকে না; বরং দক্ষতার
ভিত্তিতে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ
তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যায়।
টাইমস
আইটি ২০১৭ সাল থেকে
২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৮ বছরে তিনশর
বেশি ব্যাচে হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষিত
করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের
সফলতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, যাতে তারা দ্রুততম
সময়ে সফল হয়ে উঠতে
পারে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে তিন থেকে ছয়
মাসের মধ্যে কোর্স শেষ করার দিকে
মনোযোগ দেয়, সেখানে টাইমস আইটি এক বছর
থেকে দেড় বছরের প্রশিক্ষণ
দিয়ে শিক্ষার্থীদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত
করে। এতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল
দক্ষতার সাথে শক্তিশালী বেস
তৈরি করতে সক্ষম হয়,
যা ভবিষ্যতে তাদের অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টাইমস
আইটিতে বর্তমানে তিনটি প্রধান কোর্স রয়েছে, যার মধ্যে গ্রাফিক
ডিজাইন কোর্সটি খুবই জনপ্রিয়। এই
কোর্সটি শেষে শিক্ষার্থীরা ফাইভার,
আপওয়ার্ক, ফ্রিপিক, অ্যাডোবি স্টক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, শাটারস্টকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলভাবে কাজ করছে। কোর্সটি
চারটি ধাপে ভাগ করা,
যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য প্রস্তুত করে
তোলে।
প্রথম
ধাপে স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করানো হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা
আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে সহজে যোগাযোগ
করতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে তাদের প্রয়োজনীয়
টুলস ও সফটওয়্যারের উপর
প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপে
ডিজাইন কোয়ালিটি উন্নত করার জন্য আরও
ডিটেইল আলোচনা এবং অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের
প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো দেখানো হয়। চূড়ান্ত ধাপে
ক্লায়েন্ট হান্টিং, গিগ রিসার্চ এবং
মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ করতে হয়
সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারে।
টাইমস
আইটির ডিজিটাল মার্কেটিং ও ওয়েব ডিজাইন
কোর্সগুলিও একইভাবে সাজানো, যাতে শিক্ষার্থীরা ধীরে
ধীরে দক্ষ হয়ে উঠে।
এতে নতুন শিক্ষার্থীরাও যারা
আগে কখনো কম্পিউটার ব্যবহার
করেনি, তারা শিখে সফলভাবে
আয় করছে। প্রতিষ্ঠানটির টিচাররা অত্যন্ত আন্তরিক এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যার
সমাধানে সবসময় পাশে থাকে।
টাইমস আইটির শিক্ষাদান পদ্ধতি একটি শক্তিশালী বেস গড়ে তোলার ওপর ভিত্তি করে। এ প্রতিষ্ঠানটি সিলেটে অবস্থিত হলেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসে। অনেকেই পূর্বে অন্য প্রতিষ্ঠানে প্রতারিত হলেও টাইমস আইটিতে শতভাগ সন্তুষ্টি পেয়েছে।
টাইমস
আইটি সবসময় শিক্ষার্থীদের হালাল আয়ের প্রতি উৎসাহিত করে, যা অন্যান্য
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরল। ইসলামিক মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে এই প্রতিষ্ঠানটির
কাজের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং আন্তরিক, যা
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে মজবুত করে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটিতে
ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।
0 Comments